বন্ধুর বিয়ে, তাই নিজের সব কাজ রেখে ক্যামেরা নিয়ে শুরু করেন ছবি তোলা। তারপর রাতে চরম ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে যখন খেতে বসছিলেন তখনই ঘটে বিপত্তি। খাবার নিয়ে বন্ধুর কটু কথায় রাগে দুঃখে ক্ষোভে বিয়ের সব ছবি ডিলিট দিয়ে বসেন ওই ব্যক্তি। তবে ভুক্তভোগীর নাম ও ঘটনার স্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (বাংলা)।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভুক্তভোগী তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, নিজে পেশাদার চিত্রগ্রাহক নন, বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে কেবল শখ করেই ফটোগুলো তুলেছেন। এতদিন কিছু ওয়াইল্ড লাইফের ওপর ফটোগ্রাফি করতেন তিনি। কিছু দিন আগে হঠাৎ এক বন্ধু তাকে নিজের বিয়ের ছবি তোলার প্রস্তাব দেন। বন্ধু বলে তিনি আর কোনো আপত্তি করেননি। কিন্তু বিয়ে বাড়ির ফটো তুলতেই সমস্যা শুরু। সকাল ১১টা থেকে একটানা ফটো তুলে ক্লান্ত ওই চিত্রগ্রাহক।

তিনি বলেন, ‘বিকেলের দিকে সকলের জন্য খাবার আয়োজন করা হলেও আমার জন্য কোনো রকম খাবারের আয়োজন করা হয়নি। প্রথমে আমি সেভাবে কিছু মনে করেনি। কিন্তু ক্লান্তি আর খিদে দুটোই আমাকে এমনভাবে গ্রাস করেছিল, আমার জন্য খাওয়াটা তখন খুবই প্রয়োজনীয় ছিল’। বন্ধুর কাছে খাওয়ার জন্য ২০ মিনিটের ছুটি চান তিনি। প্রচণ্ড গরমে তখন ওই চিত্রগ্রাহকের প্রাণ ওষ্ঠাগত। জবাবে যা শুনতে হয়, তা তিনি ভাবতে পারেননি। বন্ধু তাকে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে কাজ করছ। হয় পেশাদারের মতো কাজ করে টাকা নিয়ে বাড়ি যাবে। না হলে কাজ ছেড়ে বিশ্রামই নাও।’

বন্ধুর কাছে এ কথা শুনে আর নিজের মাথার ঠিক রাখতে পারেনি চিত্রগ্রাহক। তখনই তিনি তার ক্যামেরায় থাকা বিয়ের সব ছবি মুছে দেন। তবে রাগের মাথায় করা কাজ ঠিক হয়েছে কি না, সেটা ভেবে তিনি এখন দোটানায়।

নেট-মাধ্যমে জানিয়েছেন, তার বন্ধু বিয়ের একটি ছবিও নেট-মাধ্যমে দেননি। অনেকে তাদের জিজ্ঞাসাও করছেন ছবির ব্যাপারে। সেসব দেখে অপরাধ বোধে ভুগছেন ওই আলোকচিত্রী। জানতে চেয়েছেন, তিনি যা করেছেন, তা ঠিক ছিল কি!

যদিও এ খবর ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা দুভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বলেছেন, ওই ফটোগ্রাফার যা করেছেন তা একদম যুক্তিযুক্ত। অপর দিকে নেট-দুনিয়ায় থাকা এক শ্রেণির মানুষ দাবি করছেন, এভাবে বিয়ের ছবি মুছে দিয়ে তিনি একদমই ঠিক কাজ করেননি। হাজার হোক বন্ধুর বিয়ে বলে কথা!

এসকেডি