কানাডার নাগরিকের বিরুদ্ধে আইএস ভিডিওতে কণ্ঠ দেওয়ার অভিযোগ
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের প্রোপাগান্ডা ভিডিওতে কণ্ঠ দেওয়ার অভিযোগে কানাডার একজন নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কানাডীয় নাগরিকের নাম মোহাম্মদ খলিফা। রোববার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
সৌদি আরবে জন্ম নেওয়া মোহাম্মদ খলিফাকে ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আটক করে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী। এরপর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
৩৮ বছর বয়সী কানাডার ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে সহিংসতার ভিডিওতে কণ্ঠ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন, অনুবাদক ও ভিডিওতে নেপথ্য কণ্ঠ নেওয়ার আগে তিনি একজন আইএস যোদ্ধা হিসাবেও লড়াই করেছেন।
সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে সামনের সপ্তাহে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে হাজির করা হবে। তবে আটকের পর সংবাদপত্রে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খলিফা দাবি করেছিলেন, তিনি ছোটখাটো একজন যোদ্ধা ছিলেন এবং আইএসের শুধুমাত্র নেপথ্য কণ্ঠ হিসাবে কাজ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি দাবি করেছেন, যেসব ভয়াবহ ভিডিওতে তিনি নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছেন, সেগুলো ভিডিও করা অথবা সেসব ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
আইএসে যোগ দেওয়ার জন্য সিরিয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে কানাডা ছাড়েন খলিফা। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারার কারণে তিনি আইএসের প্রোপাগান্ডা দলের অন্যতম প্রধান সদস্যে পরিণত হন। বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
সিরিয়া এবং ইরাকের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নেওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আইএসের বেশ কিছু অনলাইন ভিডিওতে শিরশ্ছেদ করা এবং অন্যান্য বর্বরতা দেখানো হতো, যার মাধ্যমে তারা সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করতো। তবে জঙ্গি বাহিনীর দখলকৃত এলাকা হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব প্রোপাগান্ডা ভিডিওর সংখ্যাও কমে আসে।
টিএম