ভূমিকম্পের পর বেলুচিস্তানের হারনাই জেলায় একটি হাসপাতালের বাইরে আহত রোগী ও অন্যরা অবস্থান করছেন

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ২০ জন বলে জানানো হলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে যে, বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা ১ মিনিটে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় এই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে কোয়েটার অনেক মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

পাকিস্তানের সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ার কারণেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বিবিসি উর্দুকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কমপক্ষে আরও তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেককেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া এই ভূমিকম্পে নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। কর্মকর্তারা বলছেন, ভূমিকম্পের কারণে বেলুচিস্তানের হারনাই জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিবিসি বলছে, প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটার পূর্বে অবস্থিত হারনাই। অঞ্চলটিতে বিপুল সংখ্যক কয়লা খনি রয়েছে।

বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর জিয়াউল্লাহ লাঙ্গু বিবিসি’কে জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলা ও হতাহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা দল কাজ করছে।

এদিকে বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতদের বেশিরভাগই শিশু।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে মেডিকেল ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও প্যারামেডিকেল স্টাফদের হাসপাতালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হারনাই জেলায় ৭০টিরও বেশি বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। এমএস হারনাই হাসপাতাল জানিয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতদের ১০ জনের মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনই শিশু।

টিএম