যে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণ করেছেন টিকার ২ ডোজ
বিশ্বের শিল্পোন্নত অনেক বৃহৎ রাষ্ট্র যেখানে দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অর্ধেক অংশকেও এখনও টিকার আওতায় আনতে পারেনি এখনও, সেখানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র পালাউয়ের মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস; আর পালাউয়ের টিকাদান কর্মসূচির এই বিস্ময়কর সাফল্য সম্পর্কে এএফপিকে নিশ্চিত করেছে অন্যতম বৃহৎ বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রেড ক্রস।
বিজ্ঞাপন
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রসের (আইএফআরসি) প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চল শাখার প্রধান নির্বাহী কেটি গ্রিনউড এফপিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘শুধ পালাউ নয়, এই অঞ্চলের আরও দুই দ্বীপদেশ ফিজি ও কুক আইল্যান্ডের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য রীতিমতো তাক লাগানোর মতো। এটি খুবই আনন্দময় একটি ব্যাপার এবং আমার মনে হয়, পালাউয়ের অধিবাসীদের উচিত এই সাফল্য উদযাপন করা।’
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ ওশোনিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। ৩৪০ টি ছোট-বড় দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই রাষ্ট্রের আয়তন ৪৬৬ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১৭ হাজার ৯০৭।
বিজ্ঞাপন
পালাউসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে টিকাদান কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করছে আইএফআরসির প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল শাখা। আইএফআরসির তথ্য অনুযায়ী, পালাউয়ের পাশপাশি ফিজি ও কুক আইল্যান্ডসের টিকাদান কর্মসূচিও যথেষ্ট সফল। দু’টি দ্বীপরাষ্ট্রেই মোট জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন।
অবশ্য এই অঞ্চলের অন্যান্য দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর টিকাদান কর্মসূচির চিত্র তেমন আশাব্যাঞ্জক নয়।
যেমন- এ অঞ্চলের দুই বড় দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও কিরিবাতিতে করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন ১০ শতাংশেরও কম মানুষ। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা ৬ লাখ ৫০ হাজার এবং কিরিবাতির জনসংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার।
তবে টিকাদান কর্মসূচির সবচেয়ে হতাশাজনক চিত্র দেখা গেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে। ৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৪০ বর্গকিলোমিটারে এই দ্বীপরাষ্ট্রে করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কমসংখ্যক মানুষ।
এসএমডব্লিউ