শীতজুড়ে উৎসবে মাতবে কলকাতা, হবে আন্তর্জাতিক মিউজিক ফেস্টিভ্যালও
এই শীতে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক একটি মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান কলকাতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির মিলন গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই উৎসব।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রথমবারের মতো কলকাতায় আয়োজিত হতে যাচ্ছে এমন উৎসব। এবার শীতে তাই শুধু বইমেলা আর চলচ্চিত্র উৎসবেই থেমে থাকবে না পশ্চিমবঙ্গ।
বিজ্ঞাপন
সোমবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে তো একের পর এক উৎসব। দুর্গাপূজা, কালীপূজার পরই আবার ছটপূচা, জগদ্ধাত্রী পূজা রয়েছে। আবার পরের মাসেই বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে মাতবেন আমজনতা। কিন্তু বছর পেরিয়ে নতুন বছরের শুরুতেও যে শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
মহামারির আবহে কোভিডবিধি মেনে ৩১ জানুয়ারি কলকাতায় শুরু হবে বইমেলা। তার আগে শুরু হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এই দুই মহোৎসবের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিউজিক ফেস্টিভ্যাল।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইট্টিন জানাচ্ছে, এই শীতেই রেড রোডে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশেষ উৎসব। অর্থাৎ দুর্গাপূজার সময় কার্নিভালের জন্য যেভাবে রেড রোড সেজে ওঠে, সেভাবেই আবারও শীত-রোদ্দুর মেখে সেজে উঠবে রাজপথ। আর সেখানেই হাজির হবেন দেশ-বিদেশের সংগীত শিল্পীরাও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে একাধিকবার শোনা গেছে, বাংলা গানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার কথা। বাংলার সংস্কৃতির বিষয়ে যাতে গোটা দুনিয়া অবগত হয়, সে প্রয়াসই করতে হবে। কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসব যেভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসা কুড়িয়েছে, রাজ্য সরকারের আশা একইভাবে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছাবে মিউজিক ফেস্টিভ্যালও। যদিও উৎসবের সুর্নিদিষ্ট তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উৎসবে অংশ নেবেন বাংলার সংগীতশিল্পীরা। বিদেশের বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে এই উৎসবে, তবে প্রথমবার এই উৎসবের মঞ্চে গান গাইবেন শুধুমাত্র বাংলার শিল্পীরা। পরবর্তী বছরে এই উৎসবে অংশ নেবেন বিদেশি শিল্পীরাও। এই উৎসবের ক্যাচলাইন- লোকাল গাইবে, গ্লোবাল শুনবে।
সংবাদ মাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, সোমবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে এপ্রিল মাসে রাজ্যে আয়োজিত হবে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। গত ২ বছর করোনার জন্য বইমেলা এবং বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করা যায়নি। ফলে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে এবারের বাণিজ্য সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এনএফ