২০১৩ সালে মারা যাওয়া একজন সংসদ সদস্য সেজে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকারি অফিস থেকে প্রায় ১ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।  

ঘটনার বিবরণে পাওয়া যাচ্ছে, সড়ক প্রশস্তকরণ একটি প্রকল্পেন আওতায় উত্তর প্রদেশের প্রেম মনোহর নামে একজন সংসদ সদস্যের ৮০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয় সরকারি দফতর থেকে। ভারতের জনতা পার্টির এমপি প্রেম মনোহর রাজ্যসভায় দুবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে মারা যান তিনি। 

জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ পেতে যত ধরনের নথি প্রয়োজন ছিল অদ্ভূতভাবে তার সবকিছু পেশ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। 

ওই আবেদনের পর সরকারি দফতর থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে ৮৪ লাখ টাকার একটি চেক তৈরিও হয়ে গিয়েছিল। এমন সময় কেউ একজন ওই দফতরে তথ্য দেন প্রেম মনোহর বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন।   

ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। মনোহরের ছেলে জানিয়েছেন, তার বাবা ২০১৩ সালে মারা যান। কে বা কারা এখন তার বাবার নামে ক্ষতিপূরণের এই আবেদন করেছেন তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। 

মনোহর উত্তর প্রদেশের রাজ্যসভার দুবারের নির্বাচিত এমপি। প্রথম দফায় ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় দফায় ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এসপি ছিলেন তিনি। 

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ১১৯ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের পাশে ৮০ বিঘা রয়েছে মনোহরের।  সড়ক প্রশস্তকরণ একটি প্রকল্পের জন্য কয়েক মাস আগে ওই জমি অধিগ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট দফতর। একদিন এক ব্যক্তি নিজেকে প্রেম মনোহার দাবি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তিনিই যে প্রেম মনোহর তার জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিও জমা দিয়েছিলেন তিনি। 

নথিপত্র সব ঠিকঠাক থাকায় সরকারি দফতর থেকেও ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়। 

কিন্তু চেক হস্তান্তরের আগেই খবর আসে প্রেম মনোহর মারা গেছেন ২০১৩ সালে। আর তাই বিষয়টার সুরাহা করতে প্রেম মনোহরের ছেলে প্রশান্ত কুমারকে ডেকে পাঠানো হয়। 

এরপর প্রশান্ত তারা বাবার মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করেন সংশ্লিষ্ট দফতরে। 

তবে এ প্রতারণার কলকাঠি যে নাড়ছিলেন সেই ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

সূত্র : মিড-ডে।  

এনএফ