বয়স নাকি সংখ্যামাত্র। ইচ্ছেশক্তি আর মনের জোর থাকলে সবই সম্ভব। এ কথা সবার জানা থাকলেও বাস্তবে অনেক সময়ই তা সম্ভব হয় না। বয়সের কারণে অনেকের অনেক শখ পূরণ হয় না, অধরা থেকে যায় অনেক স্বপ্ন।

কিন্তু ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কোট্টায়াম জেলার কুট্টিয়াম্মা প্রমাণ করেছেন, বয়স সত্যিই সংখ্যামাত্র। ১০৪ বছর বয়সে কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। বয়স শুনে চমকে উঠছেন সকলেই।

বেঁচে থাকলেও এই বয়সে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে যান বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু কুট্টিয়াম্মা যেন এসবের ঊর্ধ্বে। তিনি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুই করলেন ১০৪ বছর বয়সে এসে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এবং রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০৪ বছর বয়সী কুট্টিয়াম্মা ছোটবেলায় স্কুলের গণ্ডিই পার করতে পারেননি। তবে তিনি পড়তে জানতেন। লিখতে পারতেন না। তাই সাক্ষরতা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়েই প্রথমে কাগজ-কলমের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। ধীরে ধীরে লিখতে শিখলেন।

কুট্টিয়াম্মার বাড়িতে সকাল ও সন্ধ্যার শিফটে ক্লাস হতো। শতবর্ষী এই বৃদ্ধাকে উৎসাহও দিয়েছেন সকলে। আর তারই ফলাফল মিলল হাতেনাতে।

সম্প্রতি কোট্টায়ামের আয়রাকুন্নান পঞ্চায়েতের আয়োজনে সাক্ষরতা পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। সেই পরীক্ষাতেই বসেন কুট্টিয়াম্মা। তাতে তিনি শুধু যে পাশই করেছেন তাই নয়, রেকর্ড নম্বরও পেয়েছেন। ১০০-র মধ্যে ৮৯!

কেরালার শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবাকুট্টি নিজে কুট্টিয়াম্মাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘কোট্টায়ামের ১০৪ বছর বয়সী কুট্টিয়াম্মা কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশন পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৯ পেয়েছেন।’

‘কুট্টিয়াম্মা দেখিয়েছেন লেখা-পড়ার কোনো বয়স হয় না। শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক ভালবাসার সঙ্গে আমি তাকে এবং অন্যান্য নতুন শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানাই।’

এই শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবাকুট্টি কুট্টিয়াম্মার একটি ছবিও টুইট করেছেন।

টিএম