সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারানো ১০ অভিবাসীকে বহনকারী একটি নৌকা ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ সিসিলিতে পৌঁছেছে। এছাড়াও চলতি সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার সময় উদ্ধার কয়েক ডজন অভিবাসীও ইতালির এই দ্বীপে শুক্রবার পৌঁছেছেন।

দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) পরিচালিত জিও ব্যারেন্টস জাহাজের ক্রুরা লিবিয়া উপকূল থেকে ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে একটি জনাকীর্ণ নৌকায় ওই ১০ জনের মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন।

এমএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই অভিবাসীরা প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে নৌকার পাটাতনে বসে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় জ্বালানির তীব্র গন্ধের কারণে দম বন্ধ হয়ে তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক এই দাতব্য সংস্থা বলছে, তিনটি পৃথক অভিযানে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে উদ্ধার আরও প্রায় ১৮৬ জন অভিবাসীকে দক্ষিণ ইতালীয় দ্বীপের মেসিনা বন্দরে পাঠানো হবে।

ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার অভিবাসীদের বেশিরভাগই আফ্রিকার; যাদের ৬১ জনই শিশু। এই শিশুদের একজনের বয়স মাত্র ১০ মাস। এক টুইট বার্তায় এমএসএফ বলেছে, তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা পাবে বলে আমরা আশা করছি। মৃতদের যথাযথভাবে দাফন করা হবে বলে টুইটে জানানো হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে নৌকায় করে অভিবাসীদের সাগর পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য প্রাথমিকভাবে ইতালি। অভিবাসীদের সাম্প্রতিক এই ঢল ঠেকানোর উপায় নির্ধারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ইতালির একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ইতালিতে ৫৯ হাজার ৭০২ জন অভিবাসী পৌঁছেছেন। যা গত বছরের একই সময়ের ৩২ হাজার ৪৭৬ জনের তুলনায় বেশি। এমএসএফ বলেছে, চলতি বছরে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টার সময় বিপজ্জনক সাগরপথের যাত্রায় এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস