লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন চীনের
তাইওয়ানকে ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস চালুর অনুমতি দেওয়ায় লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনমন করেছে চীন। তাইওয়ান ঘিরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে দূতাবাস খোলার অনুমতি দেওয়ায় বাল্টিক ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের’ স্তরে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্ব-শাসিত এবং গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড হিসেবে মনে করে চীন। এই দ্বীপ ভূখণ্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন অথবা সম্পর্ক ছিন্ন করতে দেশগুলোর প্রতি চাপ বৃদ্ধি করেছে বেইজিং।
বিজ্ঞাপন
চলতি গ্রীষ্মে লিথুয়ানিয়ার সরকার দেশটিতে একটি প্রতিনিধি অফিস চালু করতে তাইওয়ানকে অনুমতি দেয়। তাইওয়ানের সঙ্গে দেশটির আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও প্রতিনিধি অফিস চালুর এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে চীন। এই ঘটনার জেরে গত আগস্টে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় বেইজিং।
ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের অন্যান্য সব অফিস দ্বীপের উল্লেখ এড়িয়ে তাইপে শহর ব্যবহার করে। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে লিথুয়ানিয়ায় তাইওয়ানের প্রতিনিধি অফিস খোলা হয়।
বিজ্ঞাপন
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কড়া ভাষায় এক বিবৃতিতে বলেছে, লিথুয়ানিয়া চীনের ‘গম্ভীর অবস্থান’ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন করেছে। লিথুয়ানিয়ার এই পদক্ষেপ ‘চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ ক্ষুণ্ন করেছে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যাপকভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। এছাড়া এটি আন্তর্জাতিকভাবে খারাপ নজির স্থাপন করেছে।
বেইজিং বলেছে, লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক এখন রাষ্ট্রদূতের নিচের ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের’ স্তরে নামিয়ে দেওয়া হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা লিথুয়ানিয়াকে শিগগিরই ভুল সংশোধন, চীনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং চীনা জনগণের দৃঢ় সংকল্প, দৃঢ়তা ও শক্তিকে ছোট করে না দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
তাইওয়ান যা ইচ্ছা করুক না কেন, এটি যে চীনের অংশ সেটি কখনও পরিবর্তন করতে পারবে না বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে চীন। রোববার এক বিবৃতিতে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের সিদ্ধান্তের জন্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করে বলেছে, অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে লিথুয়ানিয়ায় তাইওয়ানের প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করা হয়েছে।
ব্যাপক বিবাদপূর্ণ তাইওয়ানের সঙ্গে বিশ্বের মাত্র ১৫টি দেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস