গত চারদিন ধরে নেদারল্যান্ডসে যে করোনা বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ চলছে, তাকে ‘নির্বোধদের সহিংসতা’ বলে তিরস্কার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

গত বছরের মতো চলতি বছরেও শীতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে প্রাণঘাতী রোগ করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণে লাগাম টানতে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো নেদারল্যান্ডসও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১৩ নভেম্বর আংশিক লকডাউন জারি করেছে দেশটি। এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যারা করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেননি, তারা রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, পানশালা, সিনেমা হল প্রভৃতি জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যেতে পারবেন না।

কিন্তু জনগণের একাংশ, বিশেষ করে যারা টিকাবিরোধী প্রচারণায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত, সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে একেবারেই প্রস্তুত নন। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) থেকে তারা শুরু করেছেন বিক্ষোভ।

সোমবার নেদারল্যান্ডসের সংবাদামাধ্যমগুলোকে মার্ক রুটে বলেন, ‘আমি জানি, দেশে করোনা সংক্রমণের উর্ধ্বগতি ও তা ঠেকাতে সরকারি পদক্ষেপ বহু মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এটি (আংশিক লকডাউন জারি) ছাড়া আমদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।’

‘যারা বিক্ষোভ করছেন, তার আসলে নাগরিক অধিকার প্রয়োগের নামে সহিংসতা করছেন এবং আমি দৃঢ়ভাবে বলছি- এই নির্বোধদের নামে সহিংসতায় সরকার বিচলিত হবে না এবং অবশ্যই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

শুক্রবার নেদারল্যান্ডের বন্দর নগরী রটারডামে প্রথম শুরু হয় বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভ। তারপর তা দেশের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে।

দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ দিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও গুরুতর আহত হয়েছেন ৪ বিক্ষোভকারী। বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার অভিযোগে রাজধানী হেগসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ১৩০ জন।

নেদার‌ল্যান্ডসের রাজনীতি বিশ্লেষক ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, গত ৪০ বছরে দেশটিতে এত অস্থিরতা দেখা যায়নি।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ