পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল। করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ ঠেকানোর লক্ষ্যে সোমবার থেকে দেশটিতে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

বিশ্বের যে অল্প কয়েকটি দেশ মহামারি মোকাবিলায় শিশুদের টিকা দিচ্ছে, ইসরায়েল তাদের অন্যতম। গীষ্মকালের পুরো সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখেছে ইসরায়েল; যা করোনার অতি-সংক্রামক ধরন ডেল্টার কারণে বৃদ্ধি পায়।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ সবার আগে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে, ইসরায়েল তাদের একটি। সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, দেশে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঢেউ দেখা গেছে। সম্প্রতি যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের প্রায় অর্ধেকই শিশু; যাদের বয়স ১১ বছরের নিচে বলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।

কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদান শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজারের টিকার ট্রায়াল এবং ইসরায়েলি বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেলের সুপারিশের পর শিশুদের টিকাদানের বয়সসীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

ক্ষুদে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সোমবার রাতেই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে তেলআবিবে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির একটি দল দেখতে পেয়েছে।

একটি ক্লিনিকের বাইরে শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ডোজ দিচ্ছেন হেলি নেইভ। এএফপিকে তিনি বলেছেন, মহামারির এই সময়ে আমাদের শিশুদের সুরক্ষার সর্বোত্তম অস্ত্র টিকাদান।

তিনি বলেন, এটি মোটেই সহজ সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানের ডেটা এই কর্মসূচি শুরু করতে উৎসাহ জুগিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। 

মঙ্গলবার সকালের দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের ছোট ছেলের করোনা টিকা নেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়।

ফাইজারের সঙ্গে চুক্তির কল্যাণে গত বছর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইসরায়েল। বিশ্বে প্রথম যে কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ শুরু করেছে, তাদের মধ্যে ইসরায়েল অন্যতম। দেশটির মোট ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে ৫৭ লাখকে ইতোমধ্যে এই ভাইরাসের টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এএফপি।

এসএস