করোনাভাইরাস মহামারিতে গত ২০ মাস ধরে বন্ধ থাকা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল চলতি বছরের শেষ নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার প্রত্যাশা করছে ভারত। বুধবার দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজীব বনসাল এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। 

মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের মার্চে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। সেই সময় আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট চলাচলও স্থগিত হয়ে যায়। তবে প্রত্যাবাসন মিশনে নিযুক্ত এবং ওষুধ ও খাবারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী পরিবহনের বিমানের চলাচল চালু থাকে।

দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস এবং টিকাদানের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছে। বিশ্বের কিছু দেশের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশের সঙ্গে ভারতের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে।

এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার আওতায়, আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনকারী ফ্লাইটগুলো সদস্য দেশগুলোর নিজ নিজ বিমান সংস্থার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে একে অপরের অঞ্চলে যাত্রী পরিবহন করে থাকে।

গত সপ্তাহে ভারতের বেসামরিক পরিবহন মন্ত্রী জোতিরাদিত্য সিনদিয়া বলেন, দেশের সরকার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করছে। তিনি বলেন, ভারতের সরকার আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নতুন ঢেউ থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেবে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা লকডাউনের সময় অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। দুই মাসের বিরতির পর দেশটিতে গত বছরের মে মাসে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

মহামারি চলাকালীন প্রথমবারের মতো গত মাসে পূর্ণ সক্ষমতায় যাত্রী পরিবহনের অনুমতি পায় দেশটির অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিমানসংস্থাগুলো।

আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহন পুনরায় চালুর প্রস্তুতি হিসেবে গত মাসে ভারতের সরকার জানায়, তারা শিগগিরই পর্যটন ভিসা দেওয়া শুরু করবে; যা গত ১৫ নভেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। মহামারির প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন ভিসা দেওয়ায় বন্ধ করেছিল ভারত।

সূত্র: এনডিটিভি, পিটিআই।

এসএস