দক্ষিন আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে নতুন পরিবর্তিত ধরনটির সন্ধান পাওয়া গেছে, তা কতখানি সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে।

নতুন শনাক্ত এই ধরনটির বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১৫২৯। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, বৃহস্পতিবার নতুন এই করোনাভাইরাসের ধরনটি বৈঠক করেছেন ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইউসিএল জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফ্রাঙ্কোইস ব্যালক্সও ডব্লিউএইচওর অবস্থানকে অনুসরণ করে ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘নতুন এই পরিবর্তিত ধরনটি কতখানি সংক্রামক হতে পারে, এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া পরিবর্তিত ধরনগুলোর তুলনায় এটি আরও ধ্বংসাত্মক হতে পারে কি না- এখনই এসব ব্যাপারে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’

‘তবে একজন গবেষক হিসেবে আমি বলব, এখনই এই নিয়ে উদ্বেগে ভোগার কোনো কারণ নেই।’

দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেসের (এনআইসিডি) নির্বাহী পরিচালক অ্যাড্রিয়ান পুরেন এ সম্পর্কে বলেন, ‘এটা (নতুন ধরন শনাক্ত) খুব বেশি অবাক বা আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো সংবাদ নয়। যদিও এই মুহূর্তে আমাদের হাতে থাকা তথ্যের পরিমাণ একেবারেই কম, কিন্তু এনআইসিডি কাজ করছে। আশা করছি, দ্রুত এই ধরনটির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

এনআইসিডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দক্ষিন আফ্রিকায় করোনার পরিবর্তিত নতুন ধরনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ জন।

গত বছর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের বেটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যে চারটি ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, বেটা সেসবের একটি। করোনার এই ধরন অতি-সংক্রামক এবং এই ধরনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কম।

চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে করোনার আরেকটি ধরন সি.১.২ শনাক্ত হয়। তবে সেটি ডেল্টা ধরনের তুলনায় কম সংক্রামক।

এসএমডব্লিউ