চিতাবাঘ নিয়ে যাচ্ছে ছয় বছরের ছেলেকে। এমন দৃশ্য দেখে কি আর মা বসে থাকতে পারেন। ছেলেকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন। চিতাবাঘকে এক কিলোমিটার ধাওয়া করেছেন। অবশেষে তিনি ছেলেকে চিতাবাঘ থেকে ছিনিয়ে আনতে পেরেছেন। কিন্তু চিতাবাঘের আঘাতে মা ও সন্তান দুজনই মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারা এখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিচ্ছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ নভেম্বর ভারতের মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার কুসমী ব্লকের সঞ্জয় টাইগার বাফার জোনে। এ বাফার জোনে টমসার রেঞ্জের বাড়িঝারিয়া গ্রামে চারদিক জঙ্গলে ঘেরা আবার পাহাড়ি এলাকাও রয়েছে।

রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার সময় কিরণ বেগা নিজের বাচ্চার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তার স্বামী শঙ্কর বেগা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। কিরণের কোলে শিশু বসেছিল। এ সময় পেছন থেকে চিতাবাঘটি এসে কিরণের পাশে বসা শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর কিরণ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি চিতাবাঘটিকে দেখতে পেয়েছিলেন বাচ্চাটিকে উঠিয়ে নেওয়ার সময়। দ্রুত ওই চিতাবাঘটির পেছনে দৌড়াতে থাকেন। প্রায় এক কিলোমিটার তিনি ওই চিতাবাঘের পেছনে ছুটতে থাকেন। তিনি দেখতে পান তার ৬ বছরের ছেলেকে চিতাবাঘটি নিজের থাবায় ধরে নিয়েছে। এটি দেখে তিনি লাঠি ও অন্য জিনিস দিয়ে চিতাটিকে মারতে থাকেন। ধীরে ধীরে বাচ্চাটিকে চিতাবাঘ ছাড়তে শুরু করে। এরপর চিতাবাঘটি তাকে আক্রমণ করে। তিনি চিতার থাবা নিজের হাত দিয়ে ঠেলে ফেলে দেন। চিৎকার শুনে গ্রামের অন্য লোকরা ছুটে আসে। তখন চিতাবাঘটি দৌড়ে আবার জঙ্গলে ঢুকে যায়।

বাচ্চাটিকে বাঁচানোর পর ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে যান। ঘটনার বিষয়ে সঞ্জয় টাইগার রিজার্ভকে জানানো হয়। বন বিভাগ টমসার রেঞ্জের দল দ্রুত পাঠিয়ে দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিতাবাঘের হামলায় শিশু ও শিশুর বাবা শঙ্কর বেগার গলায়, পিঠে, বাঁ চোখে ক্ষতি হয়েছে৷ অন্যদিকে কিরণের শরীরে নখের দাগ রয়েছে।

এসএসএইচ