৭২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েও বেঁচে গেল টিকটিকি
যুক্তরাষ্ট্রের রৌদ্রোজ্জ্বল ফ্লোরিডায় ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় হুইটলি বেতে ফিরেছিলেন রাসেল বন্ড নামের এক ব্রিটিশ নারী। দুই দেশের মাঝে ৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি আকাশপথ পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। দেশে ফিরে নিজের ছোট স্যুটকেসের ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত এক অতিথিকে খুঁজে পেয়ে রীতিমতো অবাকই হয়েছেন তিনি।
হুইটলি বের উত্তরের এক বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করেন রাসেল বন্ড। ৫৪ বছর বয়সী এই নারী বলেন, তার মা মার্গারেট ক্রসল্যান্ড প্রথমে সবুজ অ্যানোল প্রজাতির একটি টিকটিকি তাদের কক্ষের দরজায় দেখতে পান। ব্যাগ খোলার সময় সেটি বেরিয়ে যায়। পরে তিনি টিকটিকি বলে চিৎকার করেন।
বিজ্ঞাপন
গাছে বসবাসকারী নিরীহ প্রজাতির এই টিকটিকিকে পরে যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলস (আরএসপিসিএ) উদ্ধার করেছে।
ফ্লোরিডার ওরল্যান্ডো থেকে ছুটি কাটিয়ে হুইটলি বেতে ফেরার পর নিজ কক্ষে লাগেজপত্র খুলছিলেন বন্ড। এ সময় তার ৮৪ বছর বয়সী মা এই প্রাণীকে দেখতে পান এবং চিৎকার করে বলেন, আমার শোয়ার ঘরের দরজায় টিকটিকি।
বিজ্ঞাপন
বন্ড বলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। ভেবেছিলাম বয়সের কারণে মা হয়তো ভুল দেখেছেন। কিন্তু আমি যখন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গেলাম তখনও তিনি সরীসৃপটিকে ঘরের ভেতরে দেখেছেন বলে জানান।
অবিশ্বাস্য ভ্রমণ
রাসেল বন্ড বলেন, আমরা চারপাশে ভালোভাবে খোঁজাখুজি করছিলাম। এক পর্যায়ে আমরা টিকটিকিটি বিছানার বালিশের নিচে দেখতে পাই।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, সে খুবই স্বস্তিতে ছিল। কারণ রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়লেও সে আমার মুখে উঠে পড়েনি। এটি বেশ হতবাক করার মতো।
‘টিকটিকিটি অক্ষত অবস্থায় ভ্রমণ করতে পেরেছিল। কিন্তু ফ্লোরিডায় এত সুন্দর উষ্ণ আবহাওয়া উপভোগ করার পর শীতকালে হুইটলি বেতে আসায় তার জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে।’
ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা আরএসপিসিএর পরিদর্শক লুসি গ্রিন বলেন, এমন অবিশ্বাস্য ভ্রমণের পরও টিকটিকিটির বেঁচে থাকাটা অত্যন্ত বিস্ময়কর। নিশ্চিতভাবেই সে সৌভাগ্যবান।
দুর্ঘটনাবশত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যে চলে আসা এই টিকটিকিকে তার জন্মভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়া আরএসপিসিএর জন্য খুবই কঠিন। এ ধরনের প্রাণী সাধারণত বিশেষজ্ঞ কোনো রক্ষকের কাছে, চিড়িয়াখানা অথবা বন্যপ্রাণীর পার্কে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল।
এসএস