নতুন ধরন ওমিক্রনের ধাক্কায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের মুখোমুখি হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা রোগীর চাপ সামলাতে দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত করছে। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সাপ্তাহিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় বহুবার রূপ বদলে ফেলা করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। তারপর থেকে এই ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশে দেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত সপ্তাহে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজার ৩০০ জনের শনাক্ত হলেও পরবর্তী সপ্তাহে শুক্রবার পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি হয়েছে।

রামাফোসা বলেছেন, দেশের ৯টি প্রদেশের বেশিরভাগে করোনার নতুন সংক্রমণের ঘটনায় ওমিক্রনের আধিপত্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির আরও বেশি লোকজনকে কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে... আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য টিকাদান প্রয়োজনীয়। কারণ যত বেশি মানুষ টিকা নেবেন তত বেশি এলাকা অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য খুলে যাবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সরকার শিগগিরই মহামারি পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় করোনাভাইরাস কমান্ড কাউন্সিল গঠন করবে। জনগণকে নিরাপদ রাখতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার কি-না; সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ওই কাউন্সিল।

ওমিক্রন করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক অথবা বিদ্যমান টিকাপ্রতিরোধী কি-না তা জানতে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু হতে পারে বলে তাদের প্রাথমিক পর্যালোচনায় ইঙ্গিত দিয়েছেন। রামাফোসা বলেছেন, আমরা সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তির হারের ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখছি।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস