কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে কোভিশিল্ডের অর্ডার দেওয়া হচ্ছে না। তাই আগামী বছর থেকে এই টিকা তৈরির পরিমাণ একে বারে ৫০ শতাংশ অর্থ্যাৎ অর্ধেক কমিয়ে দিতে যাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকারের পক্ষ থেকে যদি নতুন করে কোনো অর্ডার না আসে, তা হলে এই উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান আদর পুনাওয়ালা। 

সিএনবিসিকে আদর পুনাওয়ালার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

তবে আশ্বাস দিয়ে সেরাম প্রধান জানিয়েছেন, সংগ্রহে টিকা থাকবে না, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে দিতে চায় না সংস্থা। সে কারণেই তিনি বলেছেন, ‘দেশের যখন দরকার হবে, তখন পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা পৌঁছে দিতে পারব না, এমন পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয়, সেদিকেও আমার নজর থাকবে। আাগামী ছয় মাস ধরে টিকা পৌঁছে দিতে পারছি না, কখনই এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। 

আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, ২ থেকে ৩ কোটি স্পুটনিক লাইট টিকা মজুত করা থাকবে। যে মুহূর্তে আমরা ছাড়পত্র পাব, সেই মুহূর্ত থেকে বড় আকারের উৎপাদন শুরু হবে।

করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্ক গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়েছে। পুনাওয়ালা মনে করছেন, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে বর্তমান টিকাগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। তিনি বলেছেন, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে আমরা ভারতীয়রা, যারা টিকার দুই ডোজ পেয়েছি, তারা যথেষ্ট সুরক্ষিত নই। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টিকায় নিরাপত্তার পরিমাণ যথেষ্টই ভালো।

ল্যানসেন্টের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ঘোষণা করেছে, নতুন প্রজাতির ভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের টিকা ৮০ শতাংশ কার্যকর।

আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, মডার্না কেন যথেষ্ট তথ্য হাতে না নিয়ে হঠাৎ করে টিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, তা স্পষ্ট নয় তার কাছে।

সূত্র : নিউজ১৮

জেডএস