পরমাণু ইস্যুতে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনার মধ্যেই নতুন করে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে বলেছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভিয়েনা সংলাপে ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেছেন, যখন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, ওয়াশিংটন এই সমঝোতায় ফিরতে চায় তখন এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেশটির আন্তরিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এএফপি বলছে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইরানের ওপর সর্বশেষ এই নিষেধাজ্ঞা অরোপ করা হয়। মঙ্গলবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দমনমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার ইরানের পাশাপাশি সিরিয়া ও উগান্ডার বহু ব্যক্তি ও সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউএস সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি সপ্তাহ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জনগণের ওপর নিপীড়নসহ দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সহিংস দমন এবং সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষ অন্যদের বিরুদ্ধে মারাত্মক রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত কালো তালিকাভুক্তদের সবরকম সম্পদকে যুক্তরাষ্ট্র অবরুদ্ধ করবে এবং তারা মার্কিনিদের সাথে কোনো রকম চুক্তি করতে পারবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জন্য দায়ী সিরিয়ার বিমান বাহিনীর দু’জন কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের তিনজন কর্মকর্তাকে ওয়াশিংটন কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

টিএম