ঘণ্টায় ১২ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে সক্ষম- এমন বিমান তৈরি করছে চীন। শব্দের চেয়ে ৫গুণ বেশি গতিতে ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই উড়োজাহাজটি ১০ জন যাত্রীকে নিয়ে বিশ্বের যে কোনো স্থানে এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

১৭৮ ফুট (৪৫ মিটার) লম্বা এই বিমানটি আকারে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমানের দ্বিগুণেরও বেশি। দু’পাশে ছড়িয়ে থাকা ডানার কারণে ঘুড়ির সঙ্গে খানিকটা সাদৃশ্য আছে এই উড়োজাহাটির।

বিমানটি তৈরির সঙ্গে সম্পর্কিত চীনের কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে আকাশে উড়বে এই বিমান। তারা আরও আশা করছেন, ২০১৫ সালের মধ্যে এই বিমানটির যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ১০০তে উন্নীত হবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দৈনিক ডেইলি মেইল জানিয়েছে, নাসার পরিত্যাক্ত প্রকল্প বোয়িং মান্তা এক্স ৪৭সি-র আদলে তৈরি করা হয়েছে এই বিমানটির প্রাথমিক নকশা। অনেক বেশি ব্যয়বহুল বলে এই প্রকল্পটি ২০০০ সালে পরিত্যাগ করেছিল নাসা।

চীনের যেসব বিজ্ঞানী দেশটির মহাকাশ গবেষণা ও এ বিষয়ক বিভিন্ন অভিযানের সঙ্গে যুক্ত, তাদেরকে এই নতুন বিমান প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করেছে দেশটির সরকার। তবে ঠিক কী কারণে এই বিমানটি তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি সামরিক অথবা বেসামরিক- কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে চীন- তা এখনও পরিষ্কার নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর আপত্তির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চীনের প্রবেশাধিকার নেই। দেশটির সামরিক তৎপরতা নিয়ে সংশয় থাকার কারণে এই আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

এ কারণে অবশ্য থেমে নেই চীনের মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা ও এ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো। যখন তাদের ইউতু ২ রোভার চাঁদের গা থেকে ছবি পাঠানো শুরু করে, সেসময় তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট সাড়া তুলতে সক্ষম হয়। চীনের আরেকটি রোভার মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করছে। ফলে প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে চীন।

এসএমডব্লিউ