মালয়েশিয়ার জলসীমান্তের কাছে দক্ষিণ চীন সাগরে ৬০ অভিবাসীকে বহনকারী একটি নৌকাডুবিতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ওই নৌকার আরও ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৪টার দিকে মালয়েশিয়ার জহুর রাজ্যের কাছে দক্ষিণ চীন সাগরে নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটেছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির একজন মুখপাত্র বলেছেন, বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জহুর প্রদেশের তানজুং বালাউ উপকূলের কাছে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকা ডুবে গেছে।

মুখপাত্র নুরুল হিজাম জাকারিয়া বলেন, উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান পরিচালনার জন্য মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির একটি হেলিকপ্টার এবং দু’টি নৌকা মোতায়েনের পর বুধবার সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগে ২১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বারনামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নৌকাডুবির ঘটনার একটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কর্মীরা ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে কয়েকজন অভিবাসীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছেন।

পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনীর তৃতীয় পদাতিক ডিভিশনের একজন মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ চীন সাগরে ডুবে যাওয়া নৌকার সব আরোহী ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। সিঙ্গাপুর প্রণালীর সীমান্ত লাগোয়া ইন্দোনেশিয়ার বাতাম দ্বীপ থেকে এই অভিবাসীরা যাত্রা করেছিলেন।

বাতাম দ্বীপের অবস্থান সিঙ্গাপুর এবং প্রতিবেশী মালয়েশিয়ার সীমান্তের কাছে। করোনাভাইরাস মহামারির আগে এই দ্বীপের সঙ্গে নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের ফেরি চলাচল সচল ছিল।

ওই অঞ্চলে অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনা স্বাভাবিক। প্রায়ই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। গত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারাও প্রায়ই সমুদ্র পেরিয়ে মালয়েশিয়া অথবা ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় তাদের সেই যাত্রার সমাপ্তি ঘটে সলিল সমাধিতে।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

এসএস