ছবি: বিবিসি

করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ। এ কারণে যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তারা এই ধরনটিতে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি থেকে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা ভোগ করবেন।

সার্স-কোভ-২ বা মূল করোনাভাইরাস ও তার অন্যান্য পরিবর্তিত ধরনগুলোর তুলনায় এই সুরক্ষা যদিও কিছুটা কম; এমন কি করোনার অতি সংক্রামক ধরন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডেল্টার বিরুদ্ধে ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা দেয় বুস্টার ডোজ।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ওমিক্রনে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ।

যুক্তরাজ্যের ইম্পিরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের একদল বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে বলে শনিবার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ বিবিসি।

তবে এই ফলাফলকে চুড়ান্ত হিসেবে ধরে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইম্পিরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা। তাদের ভাষ্য, যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদ্ঘাটিত না হচ্ছে- ততদিন পর্যন্ত সুরক্ষা বিষয়ক কোনো গবেষণা তথ্যই চুড়ান্ত নয়।

গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনাভাইরাসে রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।

যুক্তরাজ্যে প্রথম ওমক্রিনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২৭ নভেম্বর। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৭ জন।

গত ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানান, সক্রিয় এই করোনা রোগীদের অর্ধেকই ওমিক্রনে আক্রান্ত।

আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সম্প্রতি একজনের মৃত্যুও হয়েছে।

এদিকে, দেশজুড়ে ওমিক্রন ব্যাপকমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার জেরে গত ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি, সব বয়সের মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বরিস জনসন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কেবল ইউরোপের সফল ও দ্রুততম টিকাদানকারী দেশ হওয়া নয়, বরং ওমিক্রনের কারণে যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তাকে যতটুকু সম্ভব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।’

এসএমডব্লিউ