করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কোভিড-১৯ টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। মূলত ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই পথে হাঁটতে যাচ্ছে দেশটি। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় টিকার চতুর্থ বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে ইসরায়েলের মহামারি বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পর প্রাথমিকভাবে দেশটির সকল স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকলকে চতুর্থ ডোজের আওতায় আনা হবে।

এদিকে টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরই প্রাথমিকভাবে দেশের সকল স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের চতুর্থ ডোজের আওতায় আনার সুপারিশ করে ইসরায়েলি মহামারি বিশেষজ্ঞরা।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪০ জন করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।

এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হ্যারিস কাউন্টিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মৃত ওই ব্যক্তি করোনার টিকা নেননি। সংবাদমাধ্যম এবিসি’র মতে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এটিই প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু। এছাড়া ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। করোনার বি.১.১.৫২৯ নামক এই ভ্যারিয়েন্টকে গ্রিক বর্ণমালার ১৫ নম্বর অক্ষর অনুযায়ী ‘ওমিক্রন’ নামকরণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

টিএম