ভারতের জলপাইগুড়ির ৪২ বছর বয়সী অনির্বাণ ব্যানার্জি। বেশকিছু দিন আগে তার করোনা ধরা পড়ে। হঠাৎ শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। অবস্থা বেশি খারাপ হলে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথেই অ্যাম্বুলেন্সই ছটফট করতে করতে মারা গেলেন। এ ঘটনায় হাসপাতালের দিকে আঙুল তুলেছে অনির্বাণের পরিবার।

করোনা আক্রান্ত অনির্বাণকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অক্সিজেন ফুরিয়ে যায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সর। আর তখনই মাঝ পথে কাতরাতে কাতরাতে মারা যান তিনি। শুধু তাই নয় অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে রোগী ও অ্যাম্বুলেন্স ফেলে পালিয়ে যান ওই চালক।

পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে মাঝ সড়কেই সেই অ্যাম্বুলেন্স ফেলে পালিয়ে যান চালক। এরপর এক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্সে করে অনির্বাণের মরদেহ জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের শাশুড়ি বনানী ব্যানার্জি। তিনি জানান, অক্সিজেনের কথা আগে বলা হলেও চালক জানান, এতটুকু রাস্তা যে অক্সিজেন আছে তাতে চলে যাবে। এরপর মাঝ রাস্তাতেই অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। হাঁসফাঁস করতে থাকেন অনির্বাণ। এক সময় তার মৃত্যু হয়। অনির্বাণের মৃত্যুর পরই অ্যাম্বুলেন্স ফেলে পালান ওই চালক।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের চিকিৎসক গয়ারাম নস্কর বলেন, রোগীর কিডনি বিকল ছিল। তার ওপর আবার করোনায় আক্রান্ত। ঘটনার পর রোগীর পরিবার অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় সে পালিয়ে যায়। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি।

এমএইচএস