পিত্তাশয় থেকে বের হলো ১৪৪০টি পাথর, হতভম্ব চিকিৎসক!
অপারেশনের পর পিত্তথলি থেকে ১ হাজার ৪৪০টি পাথর বের করা হয় পশ্চিমবঙ্গের এক রোগীর
একটি কিংবা দুটি নয়, একেবারে এক থালা পাথর বেরোলো এক রোগীর পিত্তাশয় থেকে! ছোট ও বড় মিলিয়ে যার সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৪৪০টি! ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের হুগলির চুঁচুড়ার এক তরুণের পিত্তাশয়ে অস্ত্রোপচার করে এই পাথর বের করার ঘটনায় হতভম্ব হয়েছেন চিকিৎসকও! তবে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছেন ওই রোগী।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ায় তিন মাস আগে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মিঞারবেড় পীরতলা এলাকার বাসিন্দা বিভাসিন্ধু দত্ত নামে ১৭ বছরের ওই তরুণ। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে বহু পাথর রয়েছে তার পিত্তথলিতে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু বিভাসিন্ধুর অতিরিক্ত উদ্বেগ ও রক্তক্ষরণের সমস্যা থাকায় সরাসরি অস্ত্রোপচারে রাজি হননি চিকিৎসকরা। তারা জানান, মাইক্রো সার্জারি করে তার শরীর থেকে পাথরগুলো বের করা হবে। কিন্তু খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে আসে বিভাসিন্ধুর পরিবার।
এরপর ওই তরুণের পরিবারের সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক কাইয়ুম খানের পরিচয় হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার পরামর্শ দেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, বিভাসিন্ধুকে ভর্তি করা হয় তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
বিজ্ঞাপন
রোববার সেখানে তার অস্ত্রোপচার হয়। সফল অস্ত্রোপচারের পর কাইয়ুম বলেন, ‘তিন মাস আগে পেটে ব্যথা নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আলট্রাসোনোগ্রাফিতে তার পিত্তাশয়ে এত পাথর দেখে চমকে গিয়েছিলাম। অপারেশনের পর পিত্তথলি থেকে ১ হাজার ৪৪০টি পাথর বেরিয়েছে। এখনই অপারেশন না করা হলে বিপদ ঘটে যেতে পারত।’
তিনি বলেন, এ ধরনের রোগীকে অপারেশন করাই যুক্তিযুক্ত কাজ। তা না হলে পাথর পিত্তথলি থেকে পিত্তনালীতে চলে যেতে পারে। পিত্তনালী থেকে জন্ডিস হয়। আবার কোনও কোনও সময় দেখা যায় প্যানক্রিয়াটাইটিস। এখন রোগী ভাল আছেন। সুস্থ আছেন।
অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছেন বিভাসিন্ধু। তিনি বলেন, ‘খুব ভাল লাগছে। তাও আবার বিনা খরচে। ডাক্তারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি ঈশ্বরের মতো কাজ করলেন। আমি খুশি।’
এসএস