মাস শেষ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সবাই বেতনের প্রত্যাশা করে। কিন্তু যদি দেখা যায়, মাস শেষে বেতনের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকলো না, আবার চেক দিয়েও পরিশোধ করা হলো না; বেতন এলো ঠিকই, কিন্তু পুরো অর্থটাই খুচরা পয়সায়, তাহলে!

আধুনিক প্রযুক্তির এই ডিজিটাল যুগে হয়তো এভাবে বেতন পাওয়ার কথা কেউ চিন্তাই করতে পারেন না। তবে অবিশ্বাস্য হলেও অধীনস্ত এক কর্মীর সঙ্গে এমনই কাজ করেছেন একটি সংস্থার মালিক। কাজ নিয়ে মতের মিল না হওয়ায় কর্মীকে ‘শায়েস্তা’ করতে এমন কাজ করেছেন তিনি। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্ড্রিয়াজ ফ্লেটেন নামে এক মেকানিকের সঙ্গে তার সংস্থার মালিকের সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সম্পর্ক এতোটাই তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, অ্যান্ড্রিয়াজ কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মালিককে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর পাওনা বেতনের পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে বলেন তিনি।

অ্যান্ড্রিয়াজের এই কথায় রাজিও হয়ে যান মালিক। কিন্তু চাকরি ছাড়তে চাওয়া ফ্লেটেনকে শায়েস্তা করার জন্য ৯১৫ মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা) পুরোটাই কয়েন এবং খুচরা পয়সায় দেন। বিপুল পরিমাণ এই পয়সা ও মুদ্রার ওজন দাঁড়ায় ২২৭ কেজিতে।

মূলত বস্তায় ভরে সেসব খুচরা পয়সা দেওয়া হয় অ্যান্ড্রিয়াজকে। বিপত্তি আরও বাঁধে যখন অ্যান্ড্রিয়াজ অভিযোগ করেন যে, বেতনের বিপুল পরিমাণ পয়সা গুনতে তার সাত ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এমনকি মালিক তার বেতনের পুরো টাকাটাও দেননি বলে অভিযোগ করেন অ্যান্ড্রিয়াজ।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বেতনের টাকা খুচরা পয়সায় দেওয়ার এই বিষয়টি অনলাইনে শেয়ার করেন অ্যান্ড্রিয়াজ। এরপর মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দফতরের কাছে পৌঁছে যায় বিষয়টি।

পরে শ্রম দফতর বিষয়টি নিয়ে আদালতে যায়। এরপরই মাইলস ওয়াকার নামে ওই মালিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া মালিকের বিরুদ্ধে কর্মীকে হেনস্থা, শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

টিএম