প্রতীকী ছবি

স্মার্টফোন থেকে অনলাইনে পিৎজা আর ড্রাইফ্রুট অর্ডার করেছিলেন এক তরুণী। মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে হারান বেশ কয়েক হাজার টাকা। এরপর সেই হারানো অর্থ ফিরে পেতে গিয়ে বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের ওই তরুণী। খোয়ালেন ১১ লাখ টাকারও বেশি।

এরপরই মুম্বাই পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জানান রাজ্যটির আন্ধেরি এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। এরপরই প্রতারণার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই তরুণী অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে ওই তরুণী অনলাইনে পিৎজা অর্ডার করেন। তবে অর্ডার সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনোভাবে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

একই ভাবে গত বছরের ২৯ অক্টোবরে অনলাইনে ড্রাইফ্রুট অর্ডার করার সময় আবারও ওই তরুণী ১ হাজার ৪৯৬ টাকা হারান। সেই টাকা ফেরত পেতে গুগল সার্চ করে একটি নাম্বারে ফোন করেন তিনি। আর সেই নাম্বারটিই ছিল এক প্রতারকের।

ফোন পেয়ে ওই তরুণীকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেন অভিযুক্ত প্রতারক। টাকা ফেরত পেদে উদগ্রীব তরুণী সেই নির্দেশনাও পালন করেন করেন অক্ষরে অক্ষরে। এরপর ওই অ্যাপের মাধ্যমেই তরুণীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয় প্রতারক। একপর্যায়ে ওই তরুণীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেয় ১১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

অবশ্য বিপুল পরিমাণ এই টাকা অবশ্য একদিনে সরায়নি প্রতারক। ওই তরুণীর দাবি, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়।

অ্যাকাউন্ট থেকে যে তার জমা থাকা পুরো টাকা গায়েব হয়ে গেছে, সেটি অবশ্য পরে বুঝতে পারেন ওই তরুণী। এরপরই মুম্বাই পুলিশের সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জানান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবারই ওই তরুণীকে বোকা বানিয়েছে প্রতারক। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।

টিএম