সৌম্য স্বামীনাথান, ডব্লিউএইচওর শীর্ষ বিজ্ঞানী

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্প্রতি শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার সমালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, স্বাস্থ্যবান শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী ও গবেষক সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এমন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা দেখে আমরা বলতে পারি- স্বাস্থ্যবান শিশু বা সুস্থ-সবল অপ্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজের প্রয়োজন আছে। একেবারেই পাওয়া যায়নি।’

শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া কর্মসূচি প্রথম শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের প্রথমদিকে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজের অনুমোদন দেয়।

তারপর একে একে ইসরায়েল, জার্মানিসহ কয়েকটি শিল্পোন্নত দেশ ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে ভয়াবহ অসাম্য থাকায় গত বছর থেকেই ধনী দেশগুলোকে বুস্টার ডোজ কর্মসূচি স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশ্য গত বছরের শেষ দিকে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ বিষয়ে অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছে ডব্লিউএইচও।

সৌম্য স্বামীনাথানের বক্তব্যেই তার ইঙ্গিত মিলল। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর শীর্ষ এই বিজ্ঞানী ও গবেষক বলেন, ‘বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে কেবল সেই সব মানুষকে, যারা গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন…যেমন- আমাদের বয়স্ক প্রজন্ম, বিভিন্ন কারণে যাদের দৈহিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল- তাদের এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এসএমডব্লিউ