পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ার সংলগ্ন শহর নিউক্রুর একটি গির্জায় পদদলিত হয়ে ২৯ জন মারা গেছেন, বেশ কয়েকজন হয়েছেন গুরুতর আহত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বেতারমাধ্যমের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সরকারি বেতারমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার লাইবেরিয়ার তথ্যমন্ত্রী জালাওয়াহ তনপো বলেন, ‘ডাক্তররা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজকের দিনটি লাইবেরিয়ার ইতিহাসের একটি দুঃখময় দিন।’

নিউক্রুর বাসিন্দা এক্সোডাস মরিয়াস নামের ওই সময় গির্জায় উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবারের নিয়মিত প্রার্থনায় যোগ দিতে গির্জায় উপস্থিত হয়েছিলাম। প্রার্থনাসভা চলছে- এমন সময় আমরা দেখলাম কাটলাস (দীর্ঘ ফলার ছুরি) ও অন্যান্য অস্ত্র হাতে একদল লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।’

‘তাদের এগিয়ে আসতে দেখে লোকজন গির্জার বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে। সে সময়ই পদদলনের এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।’

দুবৃত্তদের বেশ কিছু সংঘবদ্ধ গ্যাং লাইবেরিয়ায় সক্রিয়। স্থানীভাবে এদের বলা হয় জোগোস। ছোরা, চাপাতি ও হালকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দেশজুড়ে ছিনতাই, ডাকাতি ও রাহাজানি চালিয়ে যাচ্ছে এই গ্যাংগুলো।

লাইবেরিয়া পুলিশের মুখপাত্র মোসেস কার্টার অবশ্য এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিশদ কিছু বলতে চাননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং তা শেষ হলেই সঠিক তথ্য জানা যাবে।

এদিকে, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়েয়াহ। নিহতদের স্মরণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ