ছবি: ডয়েচে ভেলে

ডিঙি নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টাকালে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিবাসনপ্রত্যাশী এক মা। স্পেনের কোস্টগার্ড সদস্যরা নবজাতকসহ নৌকায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করেছেন৷ 

নবজাতক ও তার মা দুজনেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।

জানা গেছে, স্পেনের উপকূলরক্ষীরা গত বুধবার রাতে দেশটির ক্যানারি দ্বীপের উপকূল থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসমান এ ডিঙি নৌকাটি উদ্ধার করে। নৌকাটিতে মোট ৬০জন অভিবাসী ছিলেন বলে জানা গেছে। তারা সবাই উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাতে উঠেছিলেন।

এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টা করেন। অনেকক্ষেত্রে যাত্রার জন্য ব্যবহৃত হয় মাঝারি আকারের রাবারের ডিঙি, যা এই বিপদসঙ্কুল যাত্রার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রায় নৌকাডুবিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া স্পেন, ইটালি, গ্রিস এবং লিবিয়ার উদ্ধারকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিপজ্জনক অবস্থায় নৌকায় ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধার করে, এমন খবরও প্রতিনিয়তই পাওয়া যায়।    

স্পেনের বার্তাসংস্থা ইএফই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৬০ জন অভিবাসীর এ দলটি রাবারের ডিঙিতে করে যাত্রা করছিল।পথিমধ্যে ডিঙিতে থাকা এক নারী সন্তান জন্ম দেন। নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন উল্লেখ করে বার্তা সংস্থাটি জানায়, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের গ্রান তারজালা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা স্পেনের বেসরকারি সংস্থা কামিনান্দো ফ্রনটেয়ার্সের কর্মকর্তা হেলেনা মালেনো অভিবাসী মাকে ‘সাহসী’উল্লেখ করেন জানান, পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই মা। তিনি বলেন, ‘সাহসী মা ও তার সন্তান নিরাপদেই পৌঁছেছেন৷’    

জানা গেছে, উপকুল থেকে প্রায় অর্ধশত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ডিঙি বিপদাপন্ন এমন খবর পেয়ে উপকূলরক্ষীরা মঙ্গলবার রাত ১১টায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রাত দুইটার দিকে ডিঙিতে থাকা অভিবাসীদের নিরাপদে উপকূলে নিয়ে আসা হয়৷

উল্লেখ্য সাগরে ভাসমান নৌকায় অভিবাসনপ্রত্যাশী মায়ের সন্তান জন্মদানের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত বছরের ২৯ এপ্রিল স্পেনের উপকূলরক্ষীরা কয়েক ঘণ্টা বয়সী এক নবজাতক, তার মা ও ৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছিল৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসএমডব্লিউ