মালয়েশিয়ায় শ্রমদানে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: রয়টার্স
মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রধান ও বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিমে দারবি প্ল্যানটেশনের বিরুদ্ধে এসেছে এই অভিযোগ।
মালয়েশিয়ার জাতীয় অর্থনীতির সবচেয়ে শক্তিশালী খাতগুলোর একটি হলো পণ্যপ্রস্তুত বা ম্যানুফ্যাকচারিং খাত। দেশটির মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে মেডিকেল গ্লাভস থেকে শুরু করে পাম ওয়েল পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যপ্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো থেকে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়ার এই শিল্পখাতে শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অনিয়মের মূল শিকার হয় বাংলাদেশ, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা।
সিমে দারবি প্ল্যানটেশন আকৃতি ও উৎপাদন- উভয় বিচারেই বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। মালয়েশিয়ার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে পাম তেল রফতানি করে এই কোম্পানি।
বিজ্ঞাপন
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) বিভাগ সিমে দারবি প্ল্যানটেশনের পণ্য মার্কিন বাজারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়, পাশাপাশি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ওঠা জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করা বিষয়ক অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।
শুক্রবার সিবিপি সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সিমে দারবি প্ল্যানটেশন বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শ্রমিকদের শ্রমদানে বাধ্য করছে- এই অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
‘পাম গাছ থেকে ফল আহরণ থেকে শুরু করে তা প্রক্রিয়াজাত করা, তেল আহরণ ও বোতলজাতকরণ- প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অনিয়ম হলো- শ্রমিকদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করা’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিবিপি।
সিমে দারবি প্ল্যানটেশন অবশ্য সরাসরি এই অভিযোগ খারিজ করেনি; তবে পাল্টা এক বিবৃতিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার স্বাধীন তদন্ত কমিটি এই অভিযোগটি তদন্ত ও কোম্পানির সদর দফতরসহ সব শাখা কার্যালয় নিরীক্ষা করছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে সিমে দারবি প্ল্যানটেশন।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএমডব্লিউ