ভারতের রাজস্থান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা (ফাইল ছবি)

তামাক জাতীয় দ্রব্য খেলে ক্যান্সার হয়, একথা সকলেরই জানা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে সিনেমা বা টেলিভিশনেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু নেতা-মন্ত্রীদেরই বিশ্বাস যদি অন্য কিছু হয়, তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা কতটা কঠিন, তা অনুমান করাই যায়।

এই যেমন তামাকজাত দ্রব্য নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন ভারতের রাজস্থান রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা। তার দাবি, তামাক বা সিগারেটের সঙ্গে ক্যান্সারের কোনো সম্পর্কই নেই। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস ও রিপাবলিক ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে বিশেষেএক সচেতনতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসাদী লাল মীনা। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, ‘তামাকের কারণে ক্যান্সার হয় না, কারণ যারা তামাক জাতীয় দ্রব্য খায় বা ধূমপান করেন, তাদের ক্যান্সার হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা তামাক খান না, তাদেরও ক্যান্সার হয়। আবার এমনও হয় যে- যারা অত্যাধিক পরিমাণে তামাক সেবন করেন, তাদের কোনোকিছুই হয় না। আমি একটি গ্রামে থাকি, সেখানে অনেকেই দিনে ২০ বার তামাক সেবন করেন, কিন্তু ৮০-১০০ বছর পার করেও তারা জীবনে কখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হন না। এদিকে, যারা তামাক খান না, তারা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।’

এখানেই তিনি থামেননি রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও যোগ করেন, ‘বড় বড় শহরগুলোতেও সাধারণ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা বিড়ি-সিগারেট খান না, তাদেরও ক্যান্সারে হচ্ছে। ক্যান্সার রোগটি তামাক বা বিড়ির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এটি খাবার ধরন-অভ্যাস, মদ্য়পান ও জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করেই হয়। এরসঙ্গে তামাকের সম্পর্ক নেই।’

অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে থেকে এই অদ্ভুত ও বিতর্কিত দাবি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এই ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রসাদী লাল মীনা।

রাজ্যে বিষাক্ত মদপান করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটার পরই তিনি বলেছিলেন, ‘দূষিত মদ খেয়ে মরে যাওয়ার থেকে সরকারি দোকান থেকে মদ কেনা ভালো।’

টিএম