হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। মঙ্গলবার লোকসভায় এ ইস্যুতে বিবৃতির দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে বিবৃতি দিতে হবে।

মঙ্গলবার লোকসভায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোর করে হিজাব সরানোর চেষ্টা চলছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। কারও হিজাব পরাটাকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত নয়। দেশে ধর্ম বিদ্বেষের মতো ঘটনা সামনে আসছে। 

মঙ্গলবারই হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি আর্জি জানিয়েছেন, যাতে এ ইস্যুতে কোনো অশান্তি না করা হয়। শান্তি বজায় রাখার বার্তাই দিয়েছেন আদালত। 

এদিকে বিতর্ক এত চরমে পৌঁছেছে যে কর্ণাটকে তিন দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিন কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘সরকার যখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিকাশের কথা বলছে, তখন দেশের আর এক প্রান্তে অন্য ঘটনা ঘটছে।’ 

কংগ্রেস নেতাকে জবাব দিয়ে কর্ণাটকের বিজেপি নেতা শিবকুমার চানাবাসাপ্পা জানান, বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা করা সম্ভব নয়।

ঘটনার সূত্রপাত যেখানে

মাস খানেক আগে উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে ছয় জন হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেই জেলার পরপর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হিজাব ছাড়া কলেজে আসতে হবে, তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। 

তাদের দাবি, কলেজ চত্বরে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। গত শনিবার কর্ণাটক সরকারের তরফে একটি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। হিজাব বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই এই ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন বিজেপিকে।

এ প্রসঙ্গে আগেই একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎটাই কেড়ে নিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের হিজাব তাদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছি। মা সরস্বতী কাউকে ভেদাভেদ করেন না।’

এসকেডি