ছবি: মালয়েশিয়া নাও

চলতি ২০২২ সালে করোনার টিকা ও ওষুধ বিক্রি করে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফাইজারের আয় থাকবে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের এক হিসেবে এই তথ্য এসেছে।

জার্মান ওষুধ কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ২০২০ সালে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা ফাইজার অ্যান্ড বায়োএনটেক বাজারে এনেছিল ফাইজার। এই টিকা বাজারে আসার পর ২০২০ সালের শেষ থেকে ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত ১ বছর বিশ্বজুড়ে হু হু করে বিক্রি হয়েছে এই টিকা।

২০২২ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দিকে টিকার বিক্রি কিছুটা ভাটা পড়লেও ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে ফাইজারের তৈরি করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড।

কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী অ্যালবার্ট বৌরলা বলেন, ‘২০২১ সাল ছিল ফাইজারের জন্য একটি সন্ধিক্ষণের বছর। করোনা মহামারি ও এই মহামারিকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সার্বিক প্রয়াস কোম্পানিকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছে।’

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিশ্লেষণে জানা গেছে, মহামারির গত দুই বছরে করোনা টিকা ও মুখে খাওয়ার ওষুধের পাশাপাশি ক্যান্সারের ওষুধ, হাসপাতালে ব্যবহৃত চিকিৎসা সামগ্রী ও বিরল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ থেকে আয় বেড়েছে ফাইজারের।

অন্যদিকে হৃদরোগ, অভ্যন্তরীণ প্রদাহজনিত উপসর্গসহ কয়েকটি খাতের ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি খাত থেকে আয় কমেছে কোম্পানির।

তবে ২০২১ সালের শেষে ফাইজারের বার্ষিক মুনাফা ছিল ২২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ২০২১ সালের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এই বছর কোম্পানির আয় ছিল ৮১ দশমিক ৩ বিলিয়ন, যার মধ্যে ৩৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে এসেছে টিকা থেকে।

পরিচালনা পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৯৮ থেকে ১০২ বিলিয়ন ডলার আয় থাকবে কোম্পানির। এর মধ্যে করোনা টিকা থেকে আসবে ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং করোনা মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড বিক্রি বাবদ কোম্পানিটি আয় করবে ২২ বিলিয়ন ডলার। তবে ফাইজারের শীর্ষ নির্বাহী বৌরলা বলেছেন, চলতি বছর প্যাক্সলোভিডের বিক্রি কোম্পানির হিসেবের চেয়ে বেশিও হতে পারে।

তবে সাম্প্রতিক এত মুনাফা সত্ত্বেও শেয়ারবাজারে ফাইজারের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে ২ দশমিক ৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে কোম্পানির শেয়ারের।

মহামারির প্রথম বছর ২০২০ সালে করোনা টিকা বিক্রি করে ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল ফাইজার।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ