তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাংক চাকরির চাহিদা আকাশচুম্বী। তবে পেশাদারী কোর্স না থাকার কারণে অনেকই এ লড়াই থেকে ছিটকে পরেন। ফলে তরুণ প্রজন্মকে ব্যাংকিং সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে একটি পেশাদার কোর্স পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। একে পেশাদারী ব্যাংকিং শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানও বলা হয়।

এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম) কোর্সে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন।  
এ বিষয় বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. মো: আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিআইবিএম আয়োজিত দুই বছর ৪ মাস মেয়াদি এমবিএম ডিগ্রীটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রদান করা হয়।’

ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (ডিএসবিএম) আওতায় পরিচালিত হয় এমবিএম কোর্স। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসবিএমের পরিচালক অধ্যাপক মো: নেহাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাংকিং খাত হচ্ছে অন্যতম বৃহৎ কর্পোরেট সেক্টর। তাই এ সেক্টরে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য ব্যাংকিং খাতের দ্বার উন্মোচন করে দেবে এ ডিগ্রি। তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জ্ঞানের এক অপূর্ব সমন্বয় হচ্ছে এমবিএম ডিগ্রীটি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই ব্যাংকিং খাতে টিকে থাকতে পারবেন।

এদিকে বিআইবিএমে এমবিএমে নতুন ব্যাচ ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেকোনো বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণরা এমবিএম ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তার মোট স্কুলিং সময় হতে হবে কমপক্ষে ১৬ বছর। তবে ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি প্রথম বিভাগ থাকতে হবে এবং কোনও তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া একই যোগ্যতায় এমবিএম (ইভিনিং) কোর্সে প্রতিবছর একটি ব্যাচ ভর্তি করা করানো হয়। এমবিএম প্রোগ্রামের জন্য ১ জন শিক্ষার্থীকে ২০টি বিষয়ে ৬৬ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়।

শুরুতে ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই ছিলও বিআইবিএমের লক্ষ্য। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লক্ষ্যের বিস্তার ঘটেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উঠতি নতুন ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীকে ১২০ মিনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। উল্লেখ্য, নতুন ব্যাচের ভর্তি আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। ভর্তি পরীক্ষা ০৯ এপ্রিল।