বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই অর্থ উপার্জন করতে চান। কিন্তু জানেন না কীভাবে করা যায়। কিছুটা কৌশলী উপায় অবলম্বন করলেই ছাত্র জীবনেই সম্ভব আয়-রোজগার করা। আসুন তাহলে জেনে নিই ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের কিছু উপায়।

টিউশনি

জীবনের প্রথম টিউশনি অনেকের কাছে অ্যাডভেঞ্চারের মতো। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে এটি শুরু করা যায়। টিউশনি শুরু করার জন্য লিফলেট বা পোস্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। স্কুলের সামনে লিফলেট বিলি কিংবা দেয়ালে পোস্টার লাগাতে হবে। তৈরি হবে আয়ের উৎস।

ডিজাইন

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছর থেকেই ডিজাইনের কাজ করা যেতে পারে। ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরের কাজে পারদর্শী হয়ে উঠলে বাজারে তার চাহিদা বেড়ে যায়। তাই কারও ডিজাইনের কাজে পারদর্শিতা থাকলে তিনি এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

এডিটিং

সাম্প্রতিক সময়ে এডিটিং বা ভিডিও এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। সৃজনশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য এ দক্ষতা থাকা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যদি কারও ভিডিও এডিটিংয়ের দক্ষতা থাকে তাহলে তিনি এতে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন। বিভিন্ন প্রডাকশন হাউসে এডিটিংয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

লেখালেখি

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই লেখালেখি করতে দেখা যায়। কিন্তু সংবাদপত্রে কয়জনই বা নিজের লেখা প্রকাশ করার সামর্থ্য রাখেন। ব্লগিং সাইট, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে লেখালেখির এই গুণ কাজে লাগানো যায়। ব্লগিং সাইটে লেখালেখির মাধ্যমে অনেকেই টাকা পয়সা রোজগার করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং

এ প্রজন্মের কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি অতি পরিচিত শব্দ। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে স্বতন্ত্রভাবে একাধিক প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করা যায়। ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিংসহ নানা ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে বসেই সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের কাজও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে করে দেওয়া সম্ভব। আপ ওয়ার্কসহ আরও নানাবিধ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাইট রয়েছে। এসব সাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই কাজ খুঁজে পান।

এজেন্সি

এজেন্সি হলও ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান যারা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে। ভিডিও এডিটিং, ডিজাইনিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, কর্পোরেট ইভেন্ট নামানোসহ অন্যান্য কাজ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যেকোনো একটি দক্ষতা নিয়ে এসব এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন অথবা নিজেও একটি এজেন্সি তৈরি করতে পারেন।

ফটোগ্রাফি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ফটোগ্রাফির শখ দেখা যায়। তাদের এই শখই অর্থ উপার্জনে সহায়ক। বিয়ের ছবি, অফিসের ছবি, অনুষ্ঠানের ছবিসহ আরও নানা কাজে ফটোগ্রাফির দক্ষতা কাজে লাগানো সম্ভব। ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফির দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রডাকশন হাউসে কাজ করছেন কিংবা নিজেই তৈরি করেছেন প্রডাকশন হাউস।

ছোটখাটো ব্যবসা

পড়াশুনার পাশাপাশি টি-শার্ট, মগে ডিজাইন করার মাধ্যমে অনেকে ছোটখাটো ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা দিয়ে নিজের হাতখরচ মেটাতে পারেন বহু তরুণ।

কোডিং

আধুনিক বিশ্বে ভালো একজন কোডার হিসেবে ভালো আয় করা সম্ভব। কোডিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এমনকি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যারও তৈরি করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোডার, অ্যানিমেটর, ডিজাইনারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন ফুড ফেস্টিভ্যাল, কর্পোরেট ইভেন্ট, পহেলা বৈশাখের ইভেন্টসহ আরও নানা ধরনের ইভেন্টে মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 
এসব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে ভালো আয় করা সম্ভব। 

এইচএকে/আরআর