পাড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছেন। দরকার এখন যুতসই একটি চাকরি। ফলে এখনই শুরু করতে হবে দৌঁড়ঝাপ সঙ্গে প্রস্তুতিটাও। চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সাংগঠিক দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী এবং সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততা থাকা বাঞ্ছনীয়। এসব গুণ আপনাকে সহজেই চাকরি পেতে সাহায্য করবে।

সাংগঠনিক দক্ষতা আপনাকে সাহায্য করবে বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে। সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততা থাকলে আপনার কাজে ফিরবে গতি। আপনার মধ্যে নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকলে কর্পোরেট দুনিয়া চোখ বন্ধ করে স্বাগত জানাবে।

তাহলে চলুন, জেনে নিই এই তিনটি গুণে হিসাব নিকাশ-

১. সাংগঠনিক দক্ষতা

একজন চাকরি প্রত্যাশির মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা থাকা চাই ই চাই। বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ইভেন্টে অংশ নিয়ে এই দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকলে চাকরিতে স্থায়ী হওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রেই সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হয় এবং এর উপরেই সফলতা নির্ভর করে। সুতরাং চাকরি পাওয়ার জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা থাকা অতীব প্রয়োজন।

২. সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততা

চাকরি পাওয়ার জন্য সংস্কৃতিবান হওয়া জরুরি। বিভিন্ন সেমিনার ও বৈঠকে অংশ নিয়ে এই গুণ অর্জন করা সম্ভব। সংস্কৃতিমনস্ক মানুষকে চাকরিদাতারা অনেক পছন্দ করে থাকেন। কারণ সংস্কৃতিবানদের কাজ গতিশীল হয়ে থাকে। তাই চাকরিপ্রার্থীর সাংস্কৃতিক প্রাণবন্ততা থাকা খুব জরুরি।

৩. নেতৃত্বের দক্ষতা

কোনো একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য নেতৃত্ব অত্যাবশ্যকীয় একটি গুণ। নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতা থাকলে যে কোনো সাংগঠনিক কাজ অনায়াসে করে ফেলা সম্ভব।

একজন নেতা তার নেতৃত্বের গুণ দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন। নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। নেতৃত্ব দ্বারা যে কোনো কঠিন কাজ সহজেই করা সম্ভব। সুতরাং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বে দক্ষতা থাকা দরকার।

এইচএকে/আরআর