কম্পিউটার বিজ্ঞানে বায়োমেডিক্যাল নিয়ে কাজ করা অবাক করার মতন হলেও বিষয়টা খুবই ইন্টারেস্টিং। বাংলাদেশে এটা নিয়ে কাজ তেমন একটা না হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নিই কম্পিউটার বিজ্ঞানে কিভাবে বায়োমেডিকেল নিয়ে কাজ করা যায়-

বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রকৌশল নীতির প্রয়োগ, যার মূল লক্ষ্য রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং পরিচালনা করার জন্য কার্যকরী উপায় খুঁজে বের করা। পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে  মানুষের জীবনযাত্রার মানকে ত্বরান্বিত করা।

এরমধ্যে দিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা মানবদেহ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান এবং চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স, যান্ত্রিক এবং বায়োলজিকাল মেশিনের অপারেশন নীতি সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি ওষুধের প্রয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্র সম্পর্কেও একটি সুস্পষ্ট  ধারণা প্রয়োজন তৈরি হয়। যার মধ্যে কম্পিউটার বিজ্ঞান, ফিজিওলজি, বায়ো-মেকানিক্স এবং জৈব রসায়ন অন্তর্ভুক্ত।

সাধারণত ফান্ডামেন্টাল কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে বায়োলজি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে উৎপাদিত জটিল ডাটা বিশ্লেষণ এবং ডাটাসেট বুঝার জন্য বিভিন্ন এলগোরিদমের সমস্যা এবং সমাধানের কাজ করা হয়। যেখানে ক্লিনিকাল ইনফরমেশন/ডাটা এক্সট্রাকশন, সিগন্যাল এক্সট্রাকশন/প্রসেসিং, শেপ মডেলিং, নয়েস ক্যান্সেলেশন, ইমেজ ও ভিডিও প্রসেসিং, অপটিক নার্ভ হেড মডেলিং এবং সায়েন্টিফিক ভিজুয়ালাইজেশন নিয়ে কাজ করা হয়।

যা জানতে হবে

ম্যাথমেটিক্স, এনালিটিকাল নলেজ, প্রব্লেম সলভিং ও এলগোরিদম বিষয় জানতে হবে। এজন্য সায়েন্টিফিক সফ্টওয়্যার ম্যাটল্যাব এর কাজ সম্পর্কে জানতে হবে। তবে অনেকে পাইথন দিয়েও কাজ করে থাকে।

টপিকস এবং রিসোর্স

আন্ডারগ্রাডুয়েশন লেভেলে রিসার্চের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হলো টপিক বা বিষয়বস্তুু নির্ধারণ করা। এজন্য গুগল স্কলার থেকে রিলেটেড বিষয়ে পাবলিশড হওয়া পেপারগুলো পড়তে হবে।

এরপরের চ্যালেঞ্জ হলো ডাটা কালেকশন করা। ডাটা কালেকশনের জন্য ফিজিওনেট ডট অর্গ (physionet.org) এবং ফিজিওব্যাংক (physiobank) ডাটাবেজ থেকে রিলেটেড টপিকের জন্য ডাটা কালেক্ট করে নিতে হবে।