২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। এতে ভালো নম্বরের জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলির ওপর কৌশলগত প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।শেষ মুহূর্তের একটি কৌশলগত প্রস্তুতি আপনাকে আরও একধাপ এগিয়ে রাখবে। এ নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ৩৮তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার কামরুল ইসলাম সোহান।

প্রস্তুতির শুরুতেই মনে রাখতে হবে, বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সুতরাং লিখিত পরীক্ষায় অধিক নাম্বার অর্জনে বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ভালো করা আবশ্যক। হাতে একদম সময় নেই। এই অল্প সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেরা প্রস্তুতি নিতে হবে। এই মুহূর্তে ঢালাওভাবে পড়াশোনা না করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন

১। বাংলাদেশের সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। বরাবরই এই দুই বিষয় থেকে সর্বোচ্চ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।

২। পূর্বের পড়া বিষয়গুলো ঝালাই করে নিন আরও একবার।

৩। ব্যাখ্যাসহ 'সংবিধান' দেখে যেতে হবে, এ অংশ থেকেও প্রশ্ন কমন পাবার সম্ভাবনা অনেক।

৪। ৯-১০ম শ্রেণির 'বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়' বইটিতে বারবার গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতিকে একধাপ এগিয়ে রাখুন।

৫। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'পৌরনীতি ও সুশাসন-২য় পত্র' (মোঃ মোজাম্মেল হক) বইটিও দেখতে পারেন।

৬। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন মতাদর্শ জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে 'অসমাপ্ত আত্নজীবনী' এবং 'আমার দেখা নয়াচীন' বই দুইটি দেখতে পারেন।

৭। টারশিয়ারি যুগের পাহাড়, বিভিন্ন সোপান এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি এবং জলবায়ু সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।

৮। জিডিপি, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এবং পার ক্যাপিটাল ইনিকাম সম্পর্কেও ধারণা রাখুন। 

যা কিছু মাথায় রাখা জরুরি

১। আপনাকে চার ঘণ্টায় ২০০ নম্বরের উত্তর লিখতে হবে। অর্থাৎ প্রতি ১ নম্বরের জন্য ১-২ মিনিট বরাদ্দ। তাহলে ৫ নম্বরের একটি প্রশ্নে ৬ মিনিট সময় হাতে পাবেন, এর বেশি সময় নেওয়া যাবে না।

২। সম্ভব হলে কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসবেন না, সবগুলোর উত্তর করবেন। দ্রুতগতিতে স্পষ্ট লেখার অভ্যাস করুন।

৩। সব প্রশ্নই কমন আসবে, এমন আশা করবেন না। যৌক্তিক তথ্য দিয়ে নিজের মতো করে বানিয়ে লেখার অভ্যাস করুন। উত্তরের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।

৪। কালো ও নীল কালির কলম ব্যবহার করবেন, সঙ্গে পেনসিলও রাখবেন।

৫। চার্ট, সারণি, মানচিত্র ব্যবহার করবেন এবং যেকোনো সমীক্ষার সর্বশেষ তথ্য ব্যবহার করবেন।

৬। প্রশ্নের ভূমিকা, মূল বিষয়বস্তু ও উপসংহার আকারে প্যারা করে লিখবেন।

আরেকটি কথা

সময়ের প্রতি খেয়াল রেখে নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই। পাশাপাশি নিজের প্রস্তুতির ওপর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।