করোনা মহামারীর কারণে ঘরে বসে অফিসের কাজ করা যায় সে বিষয়ে একটি ধারণা পাওয়া গেছে। মিটিং, ওয়ার্কশপ, সেমিনার থেকে শুরু করে অফিসের প্রায় সব ধরনের কাজ এখন অনলাইনে করা হচ্ছে। ফলে গতানুগতিক শ্রম নির্ভর কাজের চাহিদা দিন দিন কমছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন অনলাইনে তাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে।

যদি লক্ষ্য থাকে ঘরে বসে ফুল-টাইম কর্মকর্তার মতো আয় করার, সেটা কেবল অনলাইনে সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও বা অডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও অ্যানিমেশনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেকে অডিও-ভিডিও এডিটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটরের টুল ব্যবহার করেই ছবি, ভিডিও বা অডিও তৈরি করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং

অনলাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাকরির চাহিদা সব জায়গাতেই ছড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। এই কাজের মাধ্যমে আপনি সৃজনশীল ও বিশ্লেষণধর্মী কাজের সাহায্যে ভালো আয় করতে পারবেন। 

কোচ ও কনসালট্যান্ট হিসেবে

অনলাইন জবের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইনে কোচ ও কনসালট্যান্টের কাজ। ই-লার্নিংয়ের উত্থানের এই সময়ে অনলাইন কোচ ও কনসালট্যান্টের কাজ অনেক লাভজনক। এ পেশা অবলম্বন করে আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গড়ে তুলতে পারেন কনসালট্যান্সি এজেন্সি। যেমন অ্যাকাউনট্যান্স বা আইনজীবী হিসেবে কনসালট্যান্সি এজেন্সি গড়ে তোলা যায়। এর মাধ্যমে ছোট পরিসরে নিজের ব্যবসা করা সম্ভব হয়। 

লেখক ও সম্পাদক হিসেবে

ঘরে বসে যেসব কাজ করা যায় তার মধ্যে লেখালেখি অন্যতম। ফ্রিল্যান্স লেখক ও সম্পাদকের কাজ করে অনেক আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন কোম্পানির ব্লগ, ম্যাগাজিন, জার্নাল লিখে সহজে এখান থেকে আয় করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্স লেখককে কনটেন্ট তৈরির জন্য সম্মানী ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওয়েবসাইট পেইজ, সেলস মেটারিয়ালস, কাস্টমার ইমেইল, সিভি তৈরি, বই লেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং লেখার কাজ করা হয়ে থাকে। 

ডিজিটাল কনটেন্ট ডিজাইনার

গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও বা অডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও অ্যানিমেশনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেকে অডিও-ভিডিও এডিটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটরের টুল ব্যবহার করেই ছবি, ভিডিও বা অডিও তৈরি করা যায়। এর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে বিশেষ কোনও ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্টের অনেক চাহিদা রয়েছে। ছবি, ভিডিও বা অডিওর পাশাপাশি অ্যানিমেশন ও ভিজ্যুয়ার ইফেক্ট তৈরি করার মাধ্যমে বহু অর্থ উপার্জন করা যায়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রয়োজন অনেক বেশি। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে প্রতিষ্ঠানের ই-কমার্স সাইট, ফেসবুক পেইজসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমে কাজ করার জন্য অনেক বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার চালাতে জানলেই চলবে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে চালাতে হয় সেই ব্যাপারে জানে না বা আগ্রহী নয়। সুতরাং এসব কাজ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকেই করতে হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে জীবন্ত রাখেন। 

এইচএকে/আরআর