এই হাসপাতালেই পিটিয়ে হত্যা করা হয় এএসপি আনিসুল করিমকে

রাজধানীর আদাবরে মানসিক হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল। প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম পরবর্তী এ  দিন ধার্য করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনিসুল করিম হত্যার ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর নিহতের বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। গত ৯ নভেম্বর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালটির কর্মচারীদের মারধরের পর নিহত হন আনিসুল করিম শিপন। তিনি ৩১তম বিসিএস পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।

হাসপাতালে এএসপি আনিসুল করিমমে মারধরের একটি ভিডিও ফুটেজও তখন ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফুটেজে আনিসুলকে মারধরের সময় অন্তত ৯ জনকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়। 

হত্যাকাণ্ডের শিকার এএসপি আনিসুল করিম শিপন ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ৩১তম বিসিএস-এ অসামান্য কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন তিনি। পুলিশ ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকরিকালীন তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

টিএইচ/এনএফ