সাঈদীকে আদালতে নেওয়ার ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি। এ কারণে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৯ অগাস্ট মামলাটি করে এনবিআর। মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে আয় গোপন করে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম অভিযুক্ত হিসেবে জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। তার আগে থেকেই তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।

সাঈদীর পক্ষে আপিল করা হলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। ওই রায়ে তাকে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

টিএইচ/এসএসএইচ/ওএফ