শিশু সামিউল হত্যা: প্রেমিকসহ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যা মামলায় মা (সামিউলের) আয়েশা হুমায়রা এশার ও তার প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে পলাতক ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ফের ২০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও ২৩ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন।
মামলাটিতে শিশু সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা জামিনে ছিলেন। কিন্তু ২৩ নভেম্বর তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এশার ‘প্রেমিক’ শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কু পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৩ জুন শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মা আয়েশা হুমায়রা এশার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় শিশু সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। সামিউলের লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলা হয় রাস্তায়। পরে ২৪ জুন নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা কে এ আজম বাদী হয়ে ওই দিনেই আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাহান হক ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন।
টিএইচ/এসএম