পি কে হালদারের সহযোগী উজ্জ্বল কুমার নন্দীর জবানবন্দি
পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী
অর্থআত্মসাৎ ও পাচারসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ৫ দিনের রিমান্ড শেষে উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে আদালতে হাজির করেন।
এদিন উজ্জ্বল কুমার নন্দী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়া তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হককে হাজির দুদক। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। শুনানি শেষে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে ২ ফেব্রুয়ারি রাশেদুল হক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
গত ২৪ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর উজ্জ্বল কুমার নন্দীকে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, এ আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করতে পিকে হালদারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিজেরাও প্রায় ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ, মেসার্স বর্ণর নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মিলিয়ে পাঁচটি ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় মোট ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর এবং রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন-পূর্বক পাচার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় দুদক পাঁচটি মামলা করেছে।
টিএইচ/এমএইচএস