রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ নির্দেশ দেন। তার আগে অভিযোগপত্রে নারাজি জানিয়ে শাহীনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম অধিকতর তদন্তের আবেদন করেছিলেন।

আদালত আগামী ১৯ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

আবেদনপত্রে আকলিমা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যথাযথভাবে তদন্ত করেননি। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন— এমন কয়েকজনের নাম এবং প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) উল্লেখিত কিছু নাম তিনি বাদ দিয়েছেন। এ নামগুলো বাদ দিলে অভিযোগপত্র সম্পূর্ণ হবে না।

গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি ও রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহতের মা মোসা. আকলিমা রাজধানীর পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুপাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। মামলায় নিহতের মা আকলিমা অভিযোগ করেছেন, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দীনকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুমন বেপারী, মো. আবু তাহের, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু।

এ মামলায় ১৩ জনের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুই অভিযুক্ত মনির ও মানিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

এসএসএইচ