ঘুষ গ্রহণের দায়ে বিটিসিএলের চট্টগ্রাম নন্দন কানন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর মো. হুমায়ুন কবিরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত। সোমবার (১৬ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ (লাভলু) ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত আসামি মো. গিয়াস উদ্দীনকে দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৫ (ক) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া আদালত আসামি মো. হুমায়ুন কবিরকে দণ্ডবিধির ১৬১/১৬৫ (ক) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০  হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড দেন।

তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পর গিয়াস উদ্দীনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর হুমায়ুন কবিরের সাজার মেয়াদ এক বছর হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬(২) ধারায় মতে আপিলের শর্তে আসামি পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে ৩ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিটিসিএলের সাবেক উপ-সহকারী মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়ার পেনশন মঞ্জুরের ফাইল আটকে তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে তাদের গ্রেপ্তার করে দুদক। এ ঘটনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন মৃধা। ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য প্রদান শেষে আদালত আজ এই রায় দিয়েছেন। 

কেএম/এসকেডি