ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতী থ্যালাসেমিয়া আছে কি না তা শনাক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে এ তথ্য কেন যুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ‍রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৩১ মে রিট দায়ের করেন আইজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তার আগে ২৫ মে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশে এই রোগের ভয়াবহতা থেকে মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। এজন্য থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি না, প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রে এ সংক্রান্ত মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী অপশন যুক্ত করতে দাবি করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক যদি আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করেন, তাহলে তাদের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে একজন সুস্থ মানুষ আরেকজন থ্যালাসেমিয়া বাহককে বিয়ে করতে পারবে, কারণ তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার আশঙ্কা ততটা থাকে না।

এ কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রে থ্যালাসেমিয়া রোগ আছে কি না, এ ধরনের অপশন যুক্ত থাকলে তা দেখে সহজেই দুইজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের বিয়ে থেকে ঠেকানো সম্ভব।

এজন্য বিয়ের আগেই বর এবং কনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেককে জানতে হবে তারা থ্যালাসেমিয়া বাহক কি না। দুজন থ্যালাসেমিয়া বাহকের মধ্যে বিবাহ বন্ধ করা গেলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।

এমএইচডি/জেডএস