সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানা ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই দুই সিরিজের বই কেনাবেচা ও প্রকাশের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে কাজী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইফতাবুল কামাল অয়ন।

পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, আদালত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে কাজী আনোয়ার হোসেনের পরিবারকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই বই বেচাকেনার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানা ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে কাজী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম হামিদুল মিসবাহ। শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইফতাবুল কামাল অয়ন।

পরে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, প্রয়াত আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে পক্ষভুক্ত হয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়েছেন।  

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সেবা প্রকাশনীর পাঠকপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বইয়ের মালিকানা বা স্বত্ব লেখক আব্দুল হাকিমের বলে রায় দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব জব্দ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আব্দুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে গত বছরের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়।

এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

এমএইচডি/জেডএস