চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম। তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামী রফিকুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড  দিয়েছেন আদালত। অনাদায়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আদালত ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রফিকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। রায়ে মাকে খালাস দিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন রফিক। পরে তিনি জামিনে গিয়ে পালিয়ে যান। 

জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার হারুয়ালছড়ি গ্রামের পশ্চিম লম্বা বিল এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। 

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার হারুয়ালছড়ি এলাকায় ছাবিনা আক্তার নামে এক নারীকে  গলা টিপে ও খালের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ছাবিনার ভাই মো. হাসেম বাদী হয়ে ছাবিনার স্বামী রফিকুল ইসলাম, শ্বশুর আবুল খায়ের, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ও ননদ বেবী আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে রফিক ও তার মা আনোয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১০ সালের ২৭ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু হয়। ১৬ জন সাক্ষির মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার এ রায় হয়। 

কেএম/এমএ