চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‌‘ঢাকাপ্রেসডটকম’ নামে একটি ফেসবুক পেজে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সমিতির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন দোয়েল। 

মামলায় ফেসবুক পেজের লিংক উল্লেখ করে ঢাকাপ্রেসডটকমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুক আইডির লিংক উল্লেখ করে কাজী কমলা (তানিয়া) ও ফেসবুক আইডি ওবায়দুর রব কয়েস নামীয় আরও দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

ঢাকা পোস্টকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম জিয়া উদ্দিন। তিনি বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অথবা এর চেয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তপূর্বক ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫,২৯(২) এবং ৩১ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। 

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা প্রেসডটকম তাদের ফেসবুকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম জিয়া উদ্দিনের নাম ও ছবি ব্যবহার করে মানহানিকর বক্তব্য পোস্ট করে। এতে সাধারণ সম্পাদককে ভূমিদস্যু চক্রের হোতা-১ উল্লেখ করে বলা হয়, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ভূমিদস্যু ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন প্রভাবশালী চক্র। তাদেরই একজন অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মো.জিয়াউদ্দিন। 
এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল হাশেমের নাম ও ছবি ব্যবহার করে মানহানিকর বক্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করে।

সভাপতিকে ভূমিদস্যু চক্রের হোতা-২ উল্লেখ করে বলা হয়, জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরে সরকারি খাসজমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে চলছে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান। প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দেখে ভূমিদস্যুদের নির্দেশে ছিন্নমূল মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। এসব অপরাধীদের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে অন্যতম আবু মোহাম্মদ হাশেম।

মামলার আরজির একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পূর্ব কোনো বিরোধ ছিল না, বর্তমানেও নেই। অভিযুক্তরা অনলাইন পেজের মাধ্যমে সমিতির ১২৫ বছরের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ‘ভূমিদস্যু, জবরদখলকারী ও প্রতারক’ উল্লেখ করে অভিযুক্ত অনলাইন পেজ, ফেসবুক আইডির মাধ্যমে মানহানিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

কেএম/এসকেডি