মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন।

রোববার (২ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে এই মামলায় তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সুজা আবেদনগুলো দায়ের করেছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। মামলা দুটিতে ১ হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির নেতা–কর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আছেন। দুটি মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে জেগলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী হত্যার বিচার দাবিতে মুন্সিগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।

এমএইচডি/এমএইচএস